প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
ছোট্ট একটি ডিমে রয়েছে শরীরকে রোগমুক্ত এবং সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরণের পুষ্টি উপাদান।
ডিমে রয়েছে প্রথম শ্রেণির (First class) প্রোটিন, তাই ডিম আদর্শ প্রোটিন (Ideal protein) হিসেবেও পরিচিত। ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। যা আমাদের শরীর গঠনে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে অপরিহার্য। তাই সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি টুয়েলভ, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম নামক খাদ্য উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমের ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম দেহের হাড় ও দাতকে সুস্থ রাখে।
ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম ও উচ্চমাত্রার প্রোটিন। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের পেশীকে ভালো রাখে এবং পেশী শক্তি বাড়ায় ও কর্মক্ষম রাখে।
প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলস-এর চাহিদা পূরণ হতে পারে অনেকাংশেই। এটি দেহের কোষের কার্যক্রম ভালো রেখে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি করে ভিটামিন এ যুক্ত ডিম খান। ডিমের মধ্যে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে পারে।
ডিমে থাকা ভিটামিনস ও মিনারেলস ব্রেইনের সেলগুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ব্রেইনের নার্ভকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ছোট্ট একটি ডিমের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ভালো কোলেস্টেরল। অনেকে ভাবেন, সব চর্বি বুঝি খারাপ! কথাটা একদম ঠিক নয়। উপকারী চর্বিও রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
ডিমের সবথেকে বড় গুণ হচ্ছে- এটি আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে- ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে অযথা অন্য খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে আসে, ফলে শরীরের ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
চুল ও নখের মান উন্নত রাখতে ডিম খান। কারণ ডিমের মধ্যে থাকা সালফার চুল ও নখের সুস্থতা বজায় রাখে।
পরিশেষে একটা কথাই বলব, এই করোনা মহামারীর সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রত্যেকের খাদ্য তালিকায় অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে একটি করে ডিম রাখতেই হবে।
0 মন্তব্যসমূহ