জিনেদিন জিদান জীবনী | Zinedine Zidane Biography in Bengali



Full name: Zinedine Yazid Zidane
Date of birth: 23 June 1972 (age now 49)
Place of Birth: Marseille, France
Height: 85 m (6 ft 1 in)
Positions: Attacking midfielder

জিনেদিন জিদান ফ্রান্সের প্রাক্তন ফুটবলার বিশ্ব ফুটবল মঞ্চে তার সুনাম ও খ্যাতি আকাশ ছোয়া তিনি ১৯৯৮ সালের ফ্রান্সের ফুটবল বিশ্বকাপ বিজয়ী দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন।


১৯৯৮ বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট তার মোট গোল সংখ্যা ছিল ৩ টি, আর এই গোলের ২টি তিনি করেন ফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে। তার অবদানের জন্যই বিশ্ব ফুটবলের মহাশক্তিশালী দেশ ব্রাজিলকে হারিয়ে ফ্রান্স তাদের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ লাভ করে।



তার খেলায় ছিল তারুণ্যের গতি ও চমৎকার বল নিয়ন্ত্রণের জাদু ফাইনাল ম্যাচে এই চমৎকার গোলের জন্য তাকে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার দেয়া হয়।


পরবর্তীতে তিনি ফ্রান্সের হয়ে আরো ২ টি বিশ্বকাপ 2002, 2006 খেলেন ও জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেন, তার পায়ের জাদুতে ২০০৬ সালে ফ্রান্স বিশ্ব ফুটবলের দ্বিতীয়বার বিজয়ী হওয়ার খুব কাছে পৌঁছে যায়।

১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফুটবল ছিল জিদানের প্রথম বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট এই ইভেন্টে প্রথম ম্যাচে তিন কোনো গোল করতে পারেন নি।



আর ফ্রান্সের হয়ে তার দৃতীয় ম্যাচে সৌদি আরবের দলের ক্যাপ্টেন কে মুখে থুথু ছিটিয়ে দাওয়ার জন্য তাকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। তার সহ খেলোয়াড়রা তখন বলেন তাকে বাজে ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয়েছিল সৌদি ক্যাপ্টেন আর তরফ থেকে।


তার এই আচরণের জন্য বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক ফিফা তাকে পরবর্তী ২ টি ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড ঘোষণা করেন । পরবর্তী দুইটি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেন নি কিন্তু তার পায়ের জাদু দেখানে তখনো বাকি ছিলো।


১৯৯৮ সলে তার তৃতীয় ম্যাচটি ছিল ইতালির বিপক্ষে ফ্রান্সের ছিল এটি টুর্নামেন্টের কোয়াটার ফাইনাল ম্যাচ প্রতিপক্ষ ইতালির বিপক্ষে এই ম্যাচে জিদান তার বিশ্বকাপের প্রথম গোল টি করেন।


১৯৯৮ ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি ছিল তার জীবনের সেরা একটি ফুটবল ম্যাচ, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের বিপক্ষে তিনি প্রথমার্ধেই ২টি গোল করে তার দেশ ফ্রান্সকে ২-০ গোলে এগিয়ে রাখেন। ফ্রান্স এই ফাইনাল ম্যাচ ৩-০ গোলে জিতে প্রথম বার বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তোলে। জিদানের ২টি গোলই তিনি করেন কর্ণাট কিক থেকে আসা বলে হেড দেওয়ার মাধ্যমে।




2006 FIFA World Cup জিদানের জন্য ছিল খুবই উজ্জ্বল স্বপ্নময় একটি সময় তবে তিনি টুনামেন্টের শুরু থেকেই অধিক হলুদ কার্ড দেখার কারণে টোগোর বিপক্ষে ফ্রান্সের গ্রুপ পর্যায়ের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। ফিফার তরফ থেকে তাকে প্রথম ২ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখার জন্য তৃতীয় ম্যাচে সাসপেন্ড করা হয়।


নক আউট পর্বে স্পেনের সাথে জিদান আবার মাঠে নামার সুজুগ পান ও আরো একবার নিজের খেলার সেরা প্রদর্শন করেন, এই ম্যাচের দৃতীয় গোলটি আসে জিদানের করা ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে প্যাট্রিক ভিয়েরা র করা গোলের মাধ্যমে। আর খেলার অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন ফরাসি এটাকিং মিডফিল্ডার জিনেদিন জিদান। ম্যাচের ফলাফল জর্মানি ৩- ১ স্পেন।


স্পেনের সাথে ম্যাচ জয়ের ফলে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়, এই ম্যাচটি ছিল ফুটবল বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের রুদ্ধশ্বাস একটি খেলা, কারণ বিশ্ব ফুটবলের আসরে ফ্রান্স ব্রাজিলের মুখোমুখি খুব কমই হয়েছে আর যেহেতু এটি ZIZU র শেষ বিশ্বকাপ তাই ফুটবল প্রেমীদের মনে ফ্রান্সের প্রতি একটি বেশিই আবেগ ছিল।


এই ম্যাচে ব্রাজিল ও ফ্রান্স খুবই পরিশ্রমের সাথে তাদের সেরা খেলাটা খেলার চেষ্টা করে কিন্তু জিদানের নেতৃত্বের ফ্রান্স একটু বেশিই আধিপত্য বিস্তার করতে সামর্থ হয়। আর ম্যাচের একমাত্র গোলটি ও আসে জিদানের করা ফ্রি কিক থেকে আসা বলে স্ট্রাইকার থিয়েরি আরির করা গোলের মাধ্যমে। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে জিদানকে ম্যান অফ দা ম্যাচ ঘোষণা করা হয়।


তবে জিদানের অঘটন ঘটার ছিল ফাইনাল ম্যাচে কারণ ইতালির সাথে বিশ্ব ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচে জিদানের মতো এত বড়মাপের একজন বিশ্ববিখ্যাত খেলোয়াড়কে যে বাজে আচরণের জন্য লাল কার্ড দেখতে হবে এটা সত্যি ফুটবলের বিস্ময়কর ঘটনা। যেখানে এই ম্যাচটি জিদানের শেষ ফুটবল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় খেলার ইতি বা শেষ ম্যাচ বলে তিনি ঘোষণা করেছেন।


রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে মাত্র সাত মিনিটের মাথায় জিদান পেনাল্টি থেকে করা গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন। এই গোলের জন্য তিনি পেলে, জন ব্রিটেনের ও ভাবার দলে জয়াগ করে নেন ফাইনালে ২ টি গোল করার রেকর্ডে।